গত দুই সপ্তাহ ধরে কালাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পানির দামে কয়েক হাজার লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে চাহিদা না থাকায় প্রতি লিটার দুধ ১৮ থেকে ২০ টাকা বিক্রি করে লোকসান গুনছেন এলাকার শতাধিক দুগ্ধ খামারি।
উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে প্রায় ২৮০টি দুগ্ধ খামার রয়েছে। এগুলোতে গাভীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। এসব খামারে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯ হাজার লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। বর্তমান উপজেলার, মোলামগাড়ীহাট, মাত্রাইহাট, বিয়ালাহাট, সোমশিরা বাজার, বৈরাগীহাট, করিমপুর বাজার, হাতিয়র বাজার, মোসলিমগঞ্জনহাট, নুনূজবাজার, পুনটহাট, পাঁচগ্রাম বাজার, শান্তিনগর বাজার, মহেশপুর বাজার ও কালাই পৌরহাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ১ লিটার গাভীর দুধ ১৮ থেকে ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার বাদাউচ্চ গ্রামের দুগ্ধ খামারি মো. হামিদুল ইসলাম ও নুর মোহাম্মদ জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে দুধ অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান খামারে উৎপাদিত এক লিটার দুধ বাজারে মাত্র ১৮ থেকে ২০ টাকা। অন্যদিকে বাজারে গো-খাদ্যসহ ওষুধের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। দুধ বিক্রি করে গো-খাদ্যও কেনা যাচ্ছে না। এতে করে প্রতিদিন অর্থনৈতিকভাবে খুব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা। তাদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে দুধ বিক্রি বিষয়ে তারা কোনো সুপরামর্শ পান না। জেলার বাইরে থেকে পাইকারি ক্রেতারা এলাকাতে দুধ কিনতে এলে দাম ভালো পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন এই দুই খামারি।
এ বিষয়ে উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আব্দুল মালেক জানান, বর্তমানে উপজেলায় দুধের উৎপাদন খুব বেশি, কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতাদের চাহিদা তেমন নেই। তাই দুধের দাম কম।